Header Ads

মানসিক স্বাস্থ্য দিবস

মানসিক স্বাস্থ্য 


কথায় আছে মন ভাল তো সব ভাল। আর সেই মনই যদি ভাল না থাকে তবে সব কিছুতেই তার নেতিবাচক প্রভাব পরতে শুরু করে। এই মন ভাল থাকা আর না থাকাকেই বলে মানসিক স্বাস্থ্য। 

প্রতিবছর ১০ই অক্টোবর সারাবিশ্বে পালন করা হয় মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। ১৯৯২ সাল থেকে এই দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এ বছর মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে 'কর্মস্থলে মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেয়ার এখনই সময়'।   

আমাদের স্বাস্থের প্রধান ও অন্যতম অংশ হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য। অথচ মানসিক স্বাস্থের প্রতি আমরা সবচেয়ে বেশি অমনোযোগী। বর্তমানে পরিবার ও পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন চাপের বাইরেও বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে কর্মীরা প্রচুর মানসিক চাপের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ ও সুস্থ পরিবেশের অভাব, কাজের  চাপের পাশাপাশি সহকর্মী ও কর্তৃপক্ষের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন, সহযোগিতার অভাব দেখা যায়। ফলে কর্মীদের কাজের প্রতি স্পৃহা, উদ্দীপনা ও মনোযোগ কমে যায়। কর্মীর দক্ষতা কমে এবং তার পরিবারে আরও সমস্যার সৃষ্টি হয়। কর্মস্থলে  নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ পাওয়ার অধিকার প্রত্যেকটি মানুষের রয়েছে। তাই বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয়কে সফল করতে হলে প্রত্যেকটি কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। মালিক, কর্মী ও সহকর্মীর মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করতে হবে। সবার প্রতি সবার হতে হবে সহমর্মী। 

শুধুমাত্র কর্মক্ষেত্রেই নয়, আমাদের প্রতিটা মানুষের সুস্থ জীবনের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ অপরিহার্য। আমরা জানি মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হলে মানুষ জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। সমস্যাটি চরম র্পযায়ে গেলে মানুষ আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্তও নিতে পারে। তখন পরিবারে নেমে আসে অমানিশার অন্ধকার। তাই সময় থাকতে আমাদের মানসিক স্বাস্থের যত্ন নিতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসা নিতে হবে। 

আমাদের অনেকেরই একটা ভুল ধারনা আছে মানসিক স্বাস্থ্য ভাল না মানেই হচ্ছে পাগল। কথাটা সম্পূর্ণ ভুল। যে কারোরই মানসিক স্বাস্থজনিত সমস্যা থাকতে পারে। সঠিক চিকিৎসা ও যত্নের মাধ্যমে মানসিক সমস্যা নিরাময় করতে হবে। 

সবশেষে আমাদের থাকতে হবে মানসিক চাপমুক্ত, হাসিখুশি। তবেই নিরাপদ থাকবে প্রতিটি মানুষ ও তাদের পরিবার।    

No comments

Theme images by Deejpilot. Powered by Blogger.