আন্তর্জাতিক যুব দিবস
"আজকের তরুণরাই আগামী দিনের কর্ণধার।" এই উক্তিটি শতাব্দীর মহান নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার।
যুব দিবস |
যুবকরাই হল যে কোন দেশের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। একটি দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজকে আলোকিত করতে যুব সমাজের ভুমিকা অবিস্মরণীয়।
যুব সমাজের গুরুত্ব উপলব্ধি করেই জাতিসংঘ প্রতিবছর ১২ই আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালন করে থাকে। এবছর যুব দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে "যুবদের জন্য সবুজ দক্ষতাঃ একটি টেকসই বিশ্বের দিকে"। ২০০০ সালের ১২ই আগস্ট প্রথম যুব দিবস পালিত হয়। এই দিবসটি মুলত জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত একটি সচেতনমূলক দিবস।
এই দিনটি যুব সমাজের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হওয়ার দিন, যুব সমাজের নিজেদের অধিকার আদায়ের প্রতি সচেতনতা বাড়ানোর দিন। যুবকদের আদর্শ, স্বচ্ছতা, সত্যবাদিতা এবং কর্মে উজ্জীবিত করার দিন।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এই দিনটি আড়ম্বরের সাথে পালন করা হয়। তবে বাংলাদেশে আলাদাভাবে জাতীয় যুব দিবস পালন করা হয় প্রতি বছর ১ লা নভেম্বর। সেদিন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করে।
সমাজ গঠনে যুব সমাজ শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে চলছে। বাংলাদেশের সূচনালগ্ন থেকে এ দেশের যুবকেরা যেমন নিজেদের জীবন উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে তেমনি তাদের আত্মত্যাগ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য হয়ে আছে অনুসরণীয়। অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধের যুব সমাজ সব সময়ই সোচ্চার হয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।
তবে প্রায়শই দেখা যায়, ক্ষেত্র বিশেষে যুব সমাজ নানা ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে, অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে, বিভিন্ন নেশায় আসক্ত হয়ে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে যাচ্ছে। এসব নেতিবাচক ও মন্দ অবস্থা থেকে যুব সমাজকে বের করে আনতে হবে। দেশের অসংগঠিত, কর্মপ্রত্যাশী যুবগোষ্ঠিকে সুসংগঠিত, সুশৃখল এবং উৎপাদনমূখী শক্তিতে রুপান্তর করতে হবে।
একটি দেশের জনসংখ্যার সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল ও উৎপাদনমূখী অংশ হচ্ছে যুব সমাজ। যুব সমাজের মেধা, সৃজনশীলতা, সাহস ও প্রতিভাকে কাজে লাগাতে পারলেই পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন অনিবার্য।
এ ধনের লেখা পড়তে ক্লিক করুন
No comments