Header Ads

অভিভাবক দিবস

অভিভাবক 



আজ বিশ্বজুরে পালিত হচ্ছে অভিভাবক দিবস। প্রতিবছর জুলাই মাসের চতুর্থ রবিবার দিনটিকে পরিবারের অভিভাবকদের জন্য উৎসর্গ করা হয়। এই অভিভাবক বলতে শুধুমাত্র মা-বাবাই নন বরং দাদাদাদী, নানানানীসহ পরিবারের প্রবীনদের বোঝানো হয়।

অভিভাবক দিবসের শুরু আজ থেকে ২৯ বছর আগে। তখনকার আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন কংগ্রেসের একটি সনদে স্বাক্ষর করেন। সেই সনদের সূত্রেই শুরু হয় জাতীয় আভিভাবক দিবস। ওই সনদে ঠিক করা হয় প্রতি বছর জুলাই মাসের চতুর্থ রবিবারে পালন করা হবে জাতীয় অভিভাবক দিবস। যুক্তরাষ্ট্রে অভিভাবক দিবসের দিন প্যারেড থেকে বক্তৃতা নানরকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুধু তাই নয়, দিনটির গুরুত্ব সম্পর্কে ছোটদের অবগত করতে স্কুলগুলোতেও পালন করা হয় বিশেষ অনুষ্ঠান।অভিভাবকের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কের রসায়ন কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে আলোচনা হয় অভিভাবক দিবসে।  

অভিভাবকগণ সন্তানের জন্য দিন রাত এক করে পরিশ্রম করেন। ছোট থেকে বড় করে তোলার পথে অভিভাবকরাই আমাদের সহায়। তারাই খাইয়ে পরিয়ে সন্তানদের বড় করে তোলেন। সঠিক শিক্ষাদীক্ষা ও লেখাপড়া করিয়ে মানুষ করে তোলেন। প্রতি বাবা-মায়েরাই চান তাদের সন্তান মানুষের মতো মানুষ হোক। সমাজের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হোক‌। বাবা-মায়েরা উদয়াস্ত পরিশ্রম করে চলেন শুধুমাত্র সন্তানদের জন্য। সন্তান মুখ ফুটে চাওয়ার আগেই অধিকাংশ ইচ্ছে পূরণ করেন তারা। এমনকী কোনও বিপদের আশঙ্কা থাকলে আগে থেকে সাবধানও করেন‌। বিপদ বাধা থেকে বুক দিয়ে আগলে রাখেন সন্তানকে। তাই বাবা মা পরিবারের অভিভাবকদের গুরুত্ব মনে করিয়ে দিতেই এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়। 

আসলে এই দিনটি সন্তান  ও অভিভাবক দুই পক্ষের কাছেই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। তাই দুই পক্ষই‌ আলাদা আলাদা করে নিজের মতো পরিকল্পনা করতে পারেন। ছেলে মেয়েরা এদিন অভিভাবকদের জন্য বিশেষ উপহার কিনে আনতে পারেন। অন্যদিকে অভিভাবকরা সন্তানদের জন্য খাওয়া দাওয়া বা বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেন। 

প্রবীণরা পরিবারের বটবৃক্ষ। তাদের ছায়া আমাদের মাথার উপর আশীর্বাদ স্বরুপ। সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা প্রবীণদের বিশেষ কৃপা ও আশীর্বাদ দান করুন।

আরও পড়তে ক্লিক করুন 

পটল তোলা 

রক্তদাতা দিবস আজ 

কালো মেয়েটির কথা 

No comments

Theme images by Deejpilot. Powered by Blogger.