Header Ads

জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা বা পোসন পোয়া

 

জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা 

 

আজ পালিত হচ্ছে জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা। ঐতিহ্যগতভাবে, স্ট্রবেরি চাঁদ হল জুন মাসের পূর্ণিমা, যা সাধারণত বসন্তের শেষ বা গ্রীষ্মের প্রথম হয়ে থাকে। এই পূর্ণিমার অন্যান্য নামও রয়েছে যেমন ফুলের চাঁদ, গরম চাঁদ, মধু চাঁদ, গোলাপের চাঁদ, ভাত পূর্ণিমা এবং পোসন পোয়া।

শ্রীলঙ্কার ভাষায় এই পূর্ণিমাকে বলা হয় পোসন পোয়া। শ্রীলঙ্কায় এই পোসন পূর্ণিমা পালনের এক বিশেষত্ব রয়েছে।


ঐতিহাসিকদের মতে, সম্রাট অশোকের সময়ে জুন মাসের এই পূর্ণিমার দিন থেকেই শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তন হয়।



পোসন পোয়া 
  



জানা যায়, সম্রাট অশোকের সময় শ্রীলঙ্কার রাজা ছিলেন দেবানাম পিয়া তিসসা। সম্রাট অশোকের সাথে রাজা তিসসার খুব ভাল বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। বৌদ্ধ ধর্মের সংস্পর্শে এসে সম্রাট অশোকের জীবনের আমুল পরিবর্তন ঘটলে তিনি তার শ্রীলঙ্কান বন্ধু অর্থাৎ রাজা দেবনাম পিয়া তিসসার সাথে বৌদ্ধ ধর্মের পরিচয় করিয়ে দিতে চান। সেই জন্য তিনি তার পুত্র মাহিন্দাকে শ্রীলঙ্কা প্রেরণ করেন। আর জুন মাসের এই পূর্ণিমার দিনেই অশোক পুত্র মাহিন্দা তার সঙ্গীদের নিয়ে ভারত থেকে শ্রীলংকা আসেন। তারা আনুরাধাপুরার মিহিন্তালা জঙ্গলের মিসসেকা পাহারে অবস্থান করেন। সেখানে তিনি রাজা তিসসার সাথে সাক্ষাত করেন এবং বৌদ্ধ ধর্ম  প্রচার শুরু করন। রাজা দেবানাম পিয়া তিসসা বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হলে সারা শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ ধর্ম ছড়িয়ে পরে। তখন থেকেই শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ মন্দির ও বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক শ্রী গৌতম বুদ্ধের মূর্তি নির্মাণ ও স্থাপন শুরু হয়।

তাই এই পোসন পোয়া বা জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা শ্রীলঙ্কার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য বিশেষ এক দিন। 


আরও পড়তে ক্লিক করুন 

বৌদ্ধ পূর্ণিমা 

মানবতা এখনো বেঁচে আছে 

নববর্ষ ও আমার অভিজ্ঞতা 

No comments

Theme images by Deejpilot. Powered by Blogger.