অসমাপ্ত বাণী
অসমাপ্ত বাণী |
অসমাপ্ত বাণী
যাহা নিয়ে হৃদে গোপন কানাকানি।।
শেষ হয়েও হয় না রে শেষ
মন মাঝে বেদনার উন্মেষ।
নীরব গম্ভীর ও রয় দূরে দূরে,
চিনেও চিনে না, বুঝেও বুঝে না
কেন এলে তবে এ নগরে?
দীর্ঘদিন পরে- প্রস্থান
করেছি যে বন্ধু হৃদয় দান।
করেছিলেম আপন
সরল প্রাণে ভেবেছিলেম স্বজন।
নাহ কেন যে এমন?
এই ভেবে চিত্ত ব্যাথিত সদাক্ষন।
কোন কবেকার এক মাঘমাসে
প্রস্থান শুভ্র আবেশে ।।
মনে করেছি যেন মায়াময়, স্নেহময়,
ধীরেধীরে সবই ঘোরালো আর ভয়।
অজানা আশঙ্কায়
চিত্ত কম্পিত হয়,
কোন এক ক্ষণে, মুখোমুখি দরশনে
হায় হায় কঠিন বচনে।
কি জানি কি আছে মনে
এত নিশ্চুপ কেন রয় সদা !
চলে একলা আপনমনে।
হাসে না হাসি, আর গায় না কোন গান
দেয় না নব সুর, ধরে না বাদ্যযন্ত্র
এই ভেবে উৎকণ্ঠিত মোর প্রাণ।
সেকি তবে অভিমানি
কোন সুদুরের বধু সে, নতুন বিদেশিনী।
জানি না আর কতকাল
রবে হেথায়
নির্দিষ্ট আদেশে পুনঃ আবার কোথায়?
ক্ষণিকের তরে এসে
ফিরে যায় শেষে
তবু কেন এত শাসন-বারণ
জানিনে তার কি কারণ?
ক্ষণিকের জীবন
কখন কবে হবে যে কাহার মরণ,
তাই তো সবেমিলে মিলি একত্রে,
দরশন হয়, খনিকের তরে, ঐ মন্দিরে।
দু একটা কথা বলা, নানা পূজাপার্বণে,
নানা সুরে নানা গান গাওয়া
একত্রে সবে পাশাপাশি, শতশত গান
গাহি হিংসা বিদ্বেষ ভুলিয়া
আনন্দ মনে।
তবে কেন সে নিঠুর, হে বন্ধু অভিমানী,
আর হবে না হয়তো বলা সেই
অসমাপ্ত বাণী ।।
যদি সম্ভব হয় কোন ক্ষণে
বিধি যদি সহায় থাকেন
তবেই পূর্ণ হবে সেই ইচ্ছাখানি।
আর পড়তে ক্লিক করুন
No comments