আজ বিশ্ব পানি দিবস
বিশ্ব পানি দিবস |
আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব পানি দিবস। পানির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং এর অপচয় রোধ করতে জনগণকে সচেতন করার উদ্দেশে ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারন সভায় ২২শে মার্চকে বিশ্ব পানিদিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
মানব জীবনে পানির গুরুত্ব এতটাই
যে, পানি ছাড়া পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। এই গুরুত্বটি ব্যাপকভাবে
মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়াই পানি দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য।
আমরা জানি যে, পৃথিবীর তিন
ভাগের দুই ভাগ পানি। তবে সেই পানির ৯৭.৪ ভাগই হচ্ছে নোনা পানি। যা আমাদের নিত্য ব্যবহারের
অযোগ্য। বাকি যে পানি রয়েছে তার থেকে মোট পানির মাত্র ২.৬ ভাগ মিঠা পানি অর্থাৎ নদী-খাল-বিলের যে পানি আমরা নিত্য
দিনের কাজে ব্যবহার করি। আর পৃথিবীতে খাবার পানি রয়েছে মোট পানির মাত্র ০.০১ ভাগ। বাকি
৬৮.৬ ভাগ পানি রয়েছে কঠিন অবস্থায় অর্থাৎ সেগুলো বরফ।
পৃথিবীর তিন ভাগের দুই ভাগ পানি থাকলেও আমাদের ব্যবহারযোগ্য পানির পরিমান খুবই সামান্য। ২০২০ সালে জাতিসংঘের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পৃথিবীর ২'শ কোটির বেশি মানুষ বিশুদ্ধ খাবার পানি থেকে বঞ্চিত। বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানির অভাবে প্রতিবছর ১'শ কোটি মানুষ পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাত্র ৪০ পাউণ্ড পানির জন্য নারীদের প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হয়। পানির অভাবে পৃথিবীর বভিন্ন অঞ্চল দিনের পর দিন মরুভুমিতে পরিনত হচ্ছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আমরা জানি, পানি ব্যাবস্থাপনার উপর খাদ্য নিরাপত্তা নির্ভর করে। কৃষি, বন, প্রাণী ও মৎস্য উন্নয়নে পানিই হচ্ছে প্রধান উপাদান। পানি ও টেকসই উন্নয়ন একে অপরের সাথে জড়িত। তাই পানি সম্পদকে রক্ষা করা একান্ত প্রয়োজন। নয়তো পৃথিবীর অস্তিত্ব একদিন বিলীন হয়ে যাবে।
পানি দিবস পালন করার উদ্দেশ্যঃ
পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের
জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যাবহার নিশ্চিত করা।
পানি সতর্কতার সাথে ব্যবহার
করা ও পানির অপচয় রোধ করা।
পানির দূষণ রোধ করা
অনেক সময়ই আমরা অসচেতনভাবে বিভিন্ন উপায়ে পানির অপচয় করে থাকি। অসতর্কভাবে পানির ট্যাপ খোলা রাখি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি ব্যাবহার করি। আসুন আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে পানির ব্যাবহার সম্পর্কে
সচেতন হই। আমাদের সবার একটুখানি প্রয়াসই বৃহৎ কল্যাণ বয়ে আনতে সক্ষম।
No comments