চোরের উপর বাটপারী
চোর |
ঠক ঠক, ঝন ঝন শব্দে বিমল গমেজের ঘুম ভেঙ্গে গেল।
অন্ধকারে
বিছানা হাতড়িয়ে টর্চের আলো ঘড়িতে ফেলে দেখলেন বাজে ভোর পাuচটা।
কিসের
শব্দ? ঘুমঘুম চোখেই তিনি উপলব্ধি করলেন শব্দ আসছে ঠিক তার মাথার উপর
থেকে
অথা©ৎ টিনের চালের নিচে কাঠের যে পাটাতন থাকে সহজ ভাষায় যাকে বলে
কার,
সেই কারের উপর থেকে। বিমল গমেজ ভয় পেলেন। তিনি নিয়মিত বাড়িতে থাকেন
না।
পরিবারের সবাই থাকে ঢাকায়। কিন্তু বিমল গমেজ মাসে দুই একবার করে গ্রামে
এসে
দুই একদিন থাকেন। খাওয়াদাওয়া করেন দিদির বাড়িতে। তার অনুপস্থিতিতে ঘরটি
তালাবন্ধ
থাকে। তাই শেয়াল বা বাঘ এসে ঘরে ভেতর বাসা বাuধলো কিনা কে জানে?
শব্দের মাত্রা যেন বেড়েই চলছে। তিনি আস্তে আস্তে উঠলেন। ভোরের আলো এখনো
ফুটেনি।
তিনি ভয়ে আর ঘরের আলো জ্বালালেন না। মোবাইলটা হাতে নিয়ে আস্তে করে
ঘরের
দরজা খুলে বাইরে বেড়িয়ে এলেন।
বিমল
গমেজ প্রথমে ফোন দিলেন ঘনিষ্ট বন্ধু সজলকে। সজল গ্রামেই থাকে।
মুদির দোকান আছে। যে কোন সময় যে কারো বিপদে-আপদে সবার আগে এগিয়ে যায়।
বিমল
গমেজ জানালেন তার ঘরের পাটাতনের
উপর
কি যেন বিকট শব্দ করছে। তিনি ভয়ে
ঘরের
বাইরে আছেন। সাহায্যের দরকার। এই একই খবর তিনি দিলেন গ্রামের আরো
কয়েকজন
যুবককে। দশ মিনিটের মধ্যেই পাuচ/ছয় জন যুবক একসাথে হয়ে গেল।
বিমলের ঘরে প্রবেশ করে তারা সবাই শব্দের অথ© বুঝতে চেষ্টা করতে লাগলো। কিন্তু
সবাই
ব্যর্থ। একবার মনে হচ্ছে কতগুলো সিলভারের হাড়িপাতিল গড়াগড়ি খাচ্ছে, আবার মনে হচ্ছে কাঠ দিয়ে কেউ টিনের বাক্স পেটাচ্ছে। আবার মনে হচ্ছে কেউ যেন
কাঠের
পাটাতনের উপর লাফাচ্ছে। মাঝে মাঝেই শব্দ কিছুক্ষণের জন্য থেমে যাচ্ছে।
অন্ধকার কেটে সবেমাত্র একটু একটু করে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। যুবকেরা
লাঠিসোটা
যোগার করতে লাগলো। পাটাতনের
উপরে
যাওয়ার জন্য ঘরের ভেতরেই মই পাতা
আছে।
তবে সমস্যা হলো কে আগে যাবে? এদিকে শব্দ একটু কমে এলে সজলই লাঠি
হাতে
আগে আগে চললো। ভেতর ঘুটঘুটে অন্ধকার। টচে©র আলো ফেলে সবার
আগে
সজল আর পেছনে দিপক, রবিন, চার্লস সবার পেছনে ভিতু
বিমল।
ওরা সবাই যখন
উপরে
পৌuছালে তখন আর কোন বিকট সাড়াশব্দ নেই। এবার শোনা যাচ্ছে নাক
গোঙ্গড়ানির শব্দ। সবাই ভাবলো হয়তো সিংহ। পাটাতনের
উপর
বড়বড় আদি কালের টিনের
কয়েকটি
বাক্স আছে। ছেলের দল বাক্সের পেছনে লুকিয়ে লুকিয়ে টর্চের আলো ফেলে
দেখলো
মানুষের মতো কারো যেন হাতপা দেখা যাচ্ছে। চারপাশ থেকে ভুরভুরে বাংলা
মদের
গন্ধ। পাশে আবার বড়বড় দুটো বস্তা। এবার ছেলের দল উঠে দাড়িয়ে কাছে গিয়ে দেখে সত্যিই একজন আস্ত
মানুষ।
হাতপা ছড়িয়ে নাগ ডেকে ঘুমোচ্ছে। সজল
লোকটিকে ডাকতে লাগলো। কিন্তু ঘুমবাবু যে ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেছে উঠার কোন
সম্ভাবনা
নেই। বিমলের কাছে জানা গেলে বাংলা মদের দুটো বোতল ভরা ছিল। এখন
একটাতো
পুরো খালি আরেকটাও অধে©ক শেষ।
বুঝতে কারো আর বাকি থাকে না
যে গভীর এই ঘুমের কারণ বাংলা মদ। তবে লোকটি কে? কোথা থেকে এসেছে? তার তো হদিস নিতে হবে। ছেলের দল ঘুমন্ত
বাবুকে
টেনে হিচড়ে নিচে নামিয়ে আনলো। একজন একমগ জল এনে ঘুমন্তবাবুর মাথাসহ
মুখের
উপর ঢেলে দিল। একটু পর ঘুমন্ত বাবুর ঘুম ভাঙ্গলো। ততক্ষণে সারা গ্রামে
ঘুমন্তবাবুর কেচ্ছা ছড়িয়ে পড়েছে এবং গ্রামবাসীরা তাকে দেখতেও এসে গেছে। বিমল
গমেজের
বাড়ি উঠোন তখন মানুষে থৈ থৈ।
ঘুমন্ত বাবুর বয়স আঠার কি বিশ
বছর হবে।
ঘুম ভাঙ্গলে ছেলেটিকে প্রাথমিকভাবে
কয়েকটি
চড়থাপ্পর দেওয়া
হলো।
অনুসন্ধানে জানা গেল, ছেলেটির নাম সেলিম মিঞা। পেশায় একজন টোকাই।
পেশাগত
কারণে মাঝেমাঝেই তিনি এই গ্রামে এবং এই বাড়ির আশেপাশে ঘুরাফেরা
করেন।
এরই মধ্যে তিনি খেয়াল করেছেন এই বাড়িতে কেউ থাকে না এবং বাথরুমের
জানালাটা
ভাঙ্গা। সেই সুযোগে তিনি রাতে বাথরুমের জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকেছেন চুরির
উদ্দেশ্যে। সঙ্গে করে তিনি দুটি বস্তা এনেছেন। বস্তা দুটো এখন পাটাতনের উপর আছে।
এক
বস্তায় ধান ভতি© করেছেন। অন্য বস্তায় কিছু কাসার থালাবাসন, লোহালস্কর
টুকিটাকি
ভরেছেন। চুরির কাজ শেষ হলে তিনি দুটো বোতল দেখতে পান। বোতলে কি আছে
পরীক্ষা
করতে গিয়ে তা পান করেছেন এবং মাতাল হয়ে পথ হারিয়ে ফেলেছেন। সেলিম
মিঞার
হাতে একটা টচ© ছিল সেটিও তিনি হারিয়ে ফেলেছেন এবং পথ না পেয়েই সম্ভত
তিনি
মাতাল অবস্থায় এখানে সেখানে ধাক্কাধাক্কি করেছেন বা পড়ে গেছেন।
যাই হোক সেলিম মিঞা সত্য কথা বলেছেন এবং চুরি করে পালাতে পারেন নি বলে যুবকেরা সেলিম মিঞাকে বিরুদ্ধে লঘু শাস্তির ব্যবস্থা করলো। শাস্তি হচ্ছে এই গ্রামে আর না আসার শতে© বিশবার কানে ধরে উঠবস করতে হবে। সেলিম মিঞার শাস্তি শুরু হলো।
এদিকে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল নবাবপাড়ার এক যুবক নাম আকবর আলী। ঘটনার বৃত্তান্ত
শুনে
আকবর আলী বিচারের শাস্তি বিধানে মোটেও খুশি হলো না। সে তার লুঙ্গি কাuছা
দিয়ে
পাশে রাখা একটি বাuশ হাতে নিয়ে সেলিম মিঞাকে হঠাৎই বেদম পেটাতে শুরু
করলো।
গ্রামের যুবকেরা আকবর আলীকে থামাতে চেষ্টা করে ব্যথ©। চারপাuচ জন
যুবক
আকবর আলীকে জাপটে ধরে থামিয়ে রাখলো। আকবর আলী থামলো। থেমে সেলিম
মিঞার
কাছে গিয়ে বললো,
Òকি আছে তর কাছে দে?Ó
মিঞা হাত জোর করে কেuদে কেuদে বললো, Òভাই কিছু নাই আমার কাছে, আমি কিছু
নেই
নাই।Ó
আকবর আলী সেলিম মিঞা শাটে©র পকেট থেকে জরাজীণ© মলিন মোবাইলটা বের করে
ঠাস
ঠাস
আরও কয়েকটা চড় মেরে বললো, Òশালা চোরের বাচ্চা চোর। এইডা তো চুরির
মাল।
শালা কয় কিছু নাইÓ বলেই সে মোবাইলটা তার নিজের শার্টের
পকেটে
ঢুকিয়ে
ফেললো।
এদিকে আকবর আলী একটু দূরে গিয়ে তার গ্রামে অর্থাৎ
নবাবপাড়ায় ফোন দিল।
Òঐ খ্রিষ্টান পাড়ায় চোর ধরা পড়ছে তরা লাঠিসোটা লইয়া আইয়া পড়। খ্রিষ্টান
পোলারা
বেকুব। চোর মারা ওগো কাম না। তরা অহনই আইয়া পর সবাইরে লইয়া।Ó
খ্রিষ্টান পাড়ার যুবকেরা সবাই অবাক! হচ্ছেটা কি! আকবর আলীর ফোনের বিস্তারিত
শুনে
ছেলেরা সেলিম মিঞাকে ছেড়ে দিয়ে বললো, Òযা চলে যা তুই, এই গ্রামে আর যেন
তোকে
না দেখি।Ó
এই কথা শুনেই আকবর আলী খপ করে সেমিল মিঞাকে ধরে বলে, Òযাও কই? তোমার
বিচার
অহনো শেষ হয় নাই।Ó
চোর দেখতে আসা
সবাই
বলতে লাগলো, Òওকে ছেড়ে দাও যথেষ্ট হয়েছে। তো আর কিছু
নিতে
পারে নাই। তাছাড়া ও আর আসবে না এই গ্রামেÓ
Òকে কইছে আইবো না। হালারা বহুত বদ। ওগো লজ্জা শরম নাই। আইজ মাইর খাইয়া
ওরা
কাইলই আইবো। ওরে জন্মের শিক্ষা দেওন লাগবো।Ó বলে আকবর আলী সেমিল
মিঞাকে
বসিয়ে রাখলো। মিনিট দশেকের মধ্যে নবাব পাড়া থেকে হৈহৈ করে প্রায়
অর্ধশত ছেলে-বুড়ো-যুবক চলে এলো লাঠিসোটা হাতে। এদের দেখে খ্রিষ্টান পাড়ার
ছেলেরা
আতঙ্কে অস্থির। কি হবে এখন!
আকবর আলী সেলিমের শার্টের কলার ধরে বললো, Òসেলিম মিঞা উঠো খ্রিষ্টান পুলারা তোমারে অনেক আদর করছে। এবার তোমারে আমরা একটু শাস্তি দেই।Ó বলেই লাঠিসোটা হাতে হায়েনাদের সামনে সেমিল মিঞাকে ছুড়ে দিল। মুরগীর মাংস পেলে শেয়াল যেমন উল্লাস করে খায়, ঠিক তেমনি উল্লাস করে ওরা সেমিল মিঞাকে পেটাতে শুরু করলো।
এরই মধ্যে খবর পেল প্রবাসী ফ্রান্সিস
রোজারিও।
তিনদিন আগে দেশে
ফিরেছেন।
সময় আর ঘুমের সাথে এখনো তার সমোঝোতা হয়ে উঠেনি। তাই সারারাত
জেগে
ভোরের দিকেই তার ঘুম হয়। এজন্য সেলিম মিঞার ব্যাপারে ফ্রাসিসকে বন্ধুরা
আর
বিরক্ত করেনি। তবে পাশের বাড়িতে ঘটে যাওয়া কান্ডে যে শোরগোল চলছে এতে
ফ্রান্সিসও ঘুম থেকে উঠে এসে বিচারকাজ দেখে হতভম্ভ। ফ্রান্সিসসহ খ্রিষ্টান ছেলেরা
অনেক
চেষ্টা করলো সেলিম মিঞাকে ঐসব হায়েনাদের হাত থেকে বাuচাতে কিন্তু ওদের
সাথে
পেরে উঠা অসম্ভব। কারণ ওদের সামনে খ্রিষ্টান ছেলেরা যে সত্যিই দুর্বল।
ফ্রান্সিস রোজারিও কোন উপায় না দেখে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানেকে ফোন দিলেন।
ঘটনার
বিস্তারিত জানিয়ে বললেন চেয়ারম্যান না এলে নবাবপাড়ার
লোকেরা
হয় তো
ছেলেটাকে
মেরেই ফেলবে।
নবাবপাড়ার ছেলেদের উত্তাল আনন্দ আর মারধরের শব্দের
মধ্যে
সেলিম মিঞার চিৎকার আর শোনা যায় না। একটু পরই চেয়ারম্যান চলে এলেন
হোন্ডায়
করে। সাথে দুইটি হোন্ডায় আরো চারজন সহযোগি। চেয়ারম্যান এসে পরিস্থিতি সামাল দিলেন। নবাবপাড়ার ছেলেরা মারপিট থামালো। সেলিম মিঞাকে ভীড় ঠেলে নিয়ে আসা
হলো
চেয়ারম্যানের সামনে। তার ঠোuট কেটে রক্ত পড়ছে। ডান চোখের পাশটা নীল হয়ে
ফুলে
গেছে। সারা শরীরে ব্যথা সে উঠে দাuড়াতে
পর্যন্ত
পারছে না।
চেয়ারম্যান বললেন, Òএমন করে মারতে হয়? মইরা যাইবো তো!Ó
আকবর আলী আগ বাড়িয়ে বলে, Òচেয়ারম্যান সাব কি যে কন? ওগো অইছে বিলাইয়ের কইলজা। সহজে মরে না। এই মাইর অর লাইগা কিছুই না। Ó
চেয়ারম্যান বলেন, Òচল ওরে নিয়ে। ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে নিয়ে চল।Ó
পেটানো শেষ। নবাবপাড়ার ছেলেরা পিটিয়ে ক্লান্ত। সকালের খাবারটাও কেউ খেয়ে আসেনি তাই তারা সবাই বাড়ি চলে গেল। চেয়ারম্যান হোন্ডায় উঠে খ্রিষ্টান পাড়ার ছেলেদের বললেন, Òএকে অফিসে নিয়ে আসেন।Ó
এই সাত সকালে কে যাবে ওকে অফিসে নিয়ে! বেচারা হাuটতেও পারছে না। শেষে দায়িত্বটা নিলেন ফ্রান্সিস রোজারিও। তিনি এক রিক্সাওয়াকে ফোন করে আনলেন। দৌuড়ে ঘর থেকে মানিব্যাগটা এনে সেলিম মিঞাকে রিক্সায় উঠিয়ে নিজে রিক্সায় বসে চললেন ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে। রাস্তায় যাওয়ার সময় ফ্রান্সিস মানিব্যাগ থেকে পuচিশÕশ টাকা বের করে সেলিম মিঞার হাতে দিয়ে বললেন, Òচিকিৎসা করিস। আর কখনো চুরি করিস না।Ó
সেলিম মিঞার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়লে লাগলো।
চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে বসে ছিলেন। চৌকিদার এসে সেলিম মিঞাকে অফিসের ভেতরে যেতে বললেন। ফ্রান্সিস রোজারিও বাইরে বারান্দায় দাuড়িয়ে রইলেন।
চেয়ারম্যান বললেন, Òকি রে তোর বাড়ি কই?Ó
ÒরংপুরÓ
Òরংপুর থেকে এখানে চুরি করতে আইছস নি? এখানে থাকস কই? Ó
Òজিঞ্জিরাÓ
Òদেখি পকেটে কি আছে?Ó
এই কথা শুনে ্ফ্রান্সিস রোজারিও জানালা দিয়ে ভেতরে উuকি দিলেন-
সেলিম মিঞা বলেন, Òনা না আমার পকেটে কিছু নাইÓ
Òনাই মানে দেহিÓ বলেই চেয়ারম্যান সেলিমের শাটে©র পটেক হাতাতে থাকে। ফ্রান্সিস রোজারিও অবাক! ভোর রাত থেকে যার উপর দিয়ে এত ঝড়-ঝাপটা বয়ে গেলে বেলা এগারোটার সময়ও তার পকেট তল্লাশি করা হচ্ছে?
চেয়ারম্যানের ভাগ্য ভাল তিনি চোরের পকেট হাতড়িয়ে পচিশÕশ টাকা পেলেন। বললেন,
Òচোর কোথাকার, বলে কিছু নাই। যা জিঞ্জিরা চলে যা। আর যেন এই তল্লাটে তরে না দেখি।Ó
সেলিম মিঞা বারান্দার দিকে পেছন ফিরে বলেন, Òটাকাটা আমারে ঐ ভাইজান দিছে।Ó
Òচুপ ব্যাটা। আবার কথা কয়Ó বলেই চেয়ারম্যান টাকাটা তার নিজের পাঞ্চারির পকেটে ভরে নিলেন। ফ্রান্সিস রোজারিও অবাক হয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলেন। তার মনটা বিষন্নতায় ছেয়ে গেল। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দা থেকে নেমে হেঁটে বাসষ্টান্ডে এসে দাuড়িয়ে রইলেন। একটু পর সেলিম মিঞাও খোড়াতে খোড়াতে বাসষ্টান্ডে এসে দাঁড়ালেন। কেউ কোন কথা বললো না। মিনিট পাuচেক পড় জিঞ্জিরাগামী বাস এসে থামলো। ফ্রান্সিস রোজারিও মানিব্যাগ ঝেড়ে খুচরো যা পেলেন সেলিম মিঞার হাতে দিয়ে বললেন, Òবাসের ভাড়াটা দিয়ে দিস।Ó
সেলিম মিঞা হঠাৎই ফ্রান্সিস রোজারিওর পা ছুয়ে সালাম করে চোখ মুছতে মুছতে বাসে উঠে গেলেন।
আরও পড়তে ক্লিক করুন
No comments