স্মৃতিতে পহেলা ডিসেম্বর
আজ পহেলা ডিসেম্বর। দিনটি আমাদের পরিবারের জন্য বিশেষ দিন হয়ে রইল। আজ আমাদের পরিবারের তিনজনের জীবনেই স্মরণীয় হয়ে থাকার মত তিনটি ঘটনা ঘটেছে।
প্রথমত আমি আজ থেকে আমার ওয়েবসাইট শুরু করলাম। এই খবর আপনারা সবাই জানেন। এটি সাধারণ একটা ব্যাপার হলেও আমার জন্য বিশাল ব্যাপার। আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল নিজের একটা ওয়েবসাইট থাকবে যেটাকে আমি শুধু আমার লেখা দিয়েই সাজাব। শুরু হল আমার পথচলা। এবার বাকি দুইটি ঘটনা শেয়ার করছি।
আমার মেয়ে মৈত্রীর আজ দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। মেয়ের রেজাল্ট খুব ভাল হয়েছে।
এখানে একটা বিষয় শেয়ার করছি। যে বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভাল লাগে, তা হল শ্রীলঙ্কায় রিপোর্ট কার্ডে কখনও প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থান থাকে না। শুধুমাত্র শিক্ষক/শিক্ষিকা জানবেন কে প্রথম/দ্বিতীয়/তৃতীয় হয়েছে। রেজাল্টের দিন স্কুলের সব শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের সামনে ক্লাসের সেরা পাঁচজন শিক্ষার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এদের নাম ঘোষণা করা হয় প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির সময় যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেয়া হয় সেই নম্বর অনুযায়ী। তাই কেউ জানেনা কে প্রথম আর কে দ্বিতীয়। এদের শেখান হয় ক্লাসের অন্য শিক্ষার্থীকে হারানো নয় বরং নিজেকে হারাতে হবে। এবারের চেয়ে আগামিতে আরও ভাল করতে হবে কিন্তু কাউকে পেছনে ফেলে নয়।
আর শেষ সুসংবাদ হচ্ছে আমার স্বামী শান্তা আজ থেকে পুনরায় তার Church Choir Band শুরু করেছে। ওদের ব্যান্ড এর নাম হচ্ছে Praise. ২০১১ থেকে ব্যান্ডটি কাজ শুরু করলেও করোনাকালে এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। আজ ছিল তার প্রথম শো।
গতকাল থেকেই আমাদের বাড়িতে উৎসব উৎসব একটা ভাব চলছে। আজ সকাল ঠিক সাতটায় আমরা তিনজন মিলে আমার ওয়েবসাইট-এর খবরটা ফেসবুকে পোস্ট করে আমি আর মেয়ে চলে গেলাম মেয়ের স্কুলে। আর শান্তা চলে গেল তার শোতে।
সন্ধ্যায় শান্তা ফিরে এলে আমাদের তিনজনের সারাদিনের কাজকর্মের পর্যালোচনা হবে। আমরা তিনজনই আজকের এই ছোট ছোট অর্জনগুলোতে আনন্দিত ও গর্বিত। সবচেয়ে বেশি যে আনন্দিত সে হচ্ছে আমাদের মেয়ে মৈত্রী। ছোট ছোট পাওয়া, খুশি আর অর্জনগুলো নিয়েই আমাদের সুখের মৈত্রীর পৃথিবী।
No comments